প্রকাশিত: Mon, Dec 19, 2022 4:56 AM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 2:48 PM

বিকল্পধারার মহাসচিব আব্দুল মান্নানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের আরো এক মামলা

এম এম লিংকন: পরস্পর যোগসাজসে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। রোববার দুদকের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করন। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার অনুমোদন দিয়েছিলো দুদক। দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিআইএফসি পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, এএমএম জাহাঙ্গীর আলম, রইস উদ্দিন আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ ও মিসেস রোকেয়া ফেরদৌস, প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদ মালিক, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুর রহমান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ফকরে ফয়সাল, সাবেক এভিপি আহমেদ করিম চৌধুরী ও সাবেক সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এবং মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আমিনুর রহমান খান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ সাবেক চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রতারণামূলকভাবে মেসার্স টেলিকম সার্ভিসেস লিমিটেডের মালিক মো. আমিনুর রহমানের নামে নিরাপত্তা জামানত ও মর্টগেজ ছাড়াই ৮ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করেন। যা সুদ আসলসহ গ্রাহকের নিকট পাওনা ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮১ হাজার ৭০৫ টাকা। 

দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা জামানত হিসেবে চেক কিংবা অন্য কোনো সম্পদ মর্টগেজ নেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের আবেদনকারীর সিআইবি রিপোর্টও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সম্পাদনা: এল আর  বাদল

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর বিআইএফসি থেকে প্রায় ২৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করে দুদক। 

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে এর আগেও দুটি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলাগুলোতে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।